সোমবার, ৯ মার্চ, ২০১৫

বাংলা লিখনের আজন্ম দুর্দশা ঘুচুক --৩য়



বাংলা লিখনের আজন্ম দুর্দশা ঘুচুক(৭টির) --৩য়



বাংলা লিখনের আজন্ম দুর্দশা ঘুচুক(৭টির) --৩য়





লেখাটি অহনলিপি-বাংলা১৪(AhanLipi-Bangla14) ফন্টে পড়তে হবে, নচেৎ লেখাটির বক্তব্য স্পষ্ট হবে না৤ ফন্ট ডাউনলোড লিংক 


অহনলিপি-বাংলা১৪(AhanLipi-Bangla14) ফন্ট প্যাকেজ ডাউনলোড লিংক:
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip

অথবা লিংক পেতে দেখুন






সঙ্গে দেওয়া ফাইল দেখে নিতে হবে৤

অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default text font setting)
Default text font setting ডিফল্ট টেক্সট ফন্ট সেটিং

এবং



অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet setting)

(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)

on internet(Mozilla Firefox)
(top left) Tools  
              Options--contents
              Fonts and Colors
              Default font:=AhanLipi-Bangla14
                        Advanced...
                                    Fonts for: =Bengali
                                    Proportional = Sans Serif,   Size=20
                                    Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Sans Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Monospace=AhanLipi-Bangla14,  Size=20
                                    -- OK
            Languages
            Choose your preferred Language for displaying pages
            Choose
            Languages in order of preference
            Bengali[bn]
            -- OK
 -- OK

          এবারে ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে৤ নেটে এই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে৤








বাংলা লিখনের আজন্ম দুর্দশা ঘুচুক-৩ 

          মনোজকুমার দ. গিরিশ
          মণীশ পার্ক, কোলকাতা




তৃতীয় অংশ


          যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আশির দশকে এক সময়ে “বর্ণচর্চা” নামে একটি বাংলা চর্চার সংগঠন তৈরি হয়েছিল৤ তাতে ছিলেন অনেক পণ্ডিত মানুষ৤ পবিত্র সরকার, তপন ঘোষাল, সমর ভট্টাচার্য, জগন্নাথ চক্রবর্তী, অশোক মুখোপাধ্যায়, দীপঙ্কর সেন, প্রসূন দত্ত, প্রমুখ৤ 


        বেশ কিছুদিন জোর চর্চা হয়েছিল, তার পরে এঁদের ব্যস্ততার ফলে এঁদের সময়ের অভাবে তা ক্রমে একসময়ে বন্ধ হয়ে যায়৤ সেই সংগঠনে এই লেখকও রবাহূত হয়ে হাজির হয়েছিল, অবশ্য একটু প্রশ্রয়ও ছিল এঁদের৤ যা হোক তিন দশক আগে সেই আশির দশকের শুরুতে তখন এঁরা সকলেই তরুণ৤ কাজের উৎসাহ ছিল প্রবল, কাজও হয়েছে বেশ খানিকটা৤ দেখা গেল অনেকেই বাংলার সমস্যা নিয়ে যা ভাবছেন তাতে বেশ মিল আছে৤ অর্থাৎ এগুলি যে সাকলিক(common) সমস্যা তা বোঝা গেছে৤ 

         সংগঠনটি চালু থাকলে বাংলাভাষার কাজ অনেকটাই এগোত তাতে সন্দেহ নেই৤ আমাকে এক সময়ে এর দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছিল, কিন্তু আমি থাকতাম দূরে ফলে যোগাযোগের সমস্যা হত বলে আমি আর এগোতে পারিনি৤ সেখানে দেখেছি একজন গবেষক তার গবেষণার উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পর আরও উন্নত গবেষণা করার জন্য সরকারি সহায়তা চেয়েও পাননি৤ এতে তিনি ভয়ানকভাবে আশাহত হলেন৤ তাঁর বন্ধুবর্গের গভীর হতাশাও চোখে পড়েছে৤ 

          বাংলা ফন্ট নিয়ে আমার মনে কিছু পরিকল্পনা ছিল কিন্তু তা বাস্তবায়িত করা আমার সাধ্যে ছিল না৤ তাই অন্য একজন গবেষকের খোঁজ পেয়ে তাঁর কাছে গেলাম৤ তিনি ত্রিভাষা(ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি একই টাইপরাইটারে টাইপ করার) টাইপরাইটার তৈরি করে বেশ সাড়া ফেলেছেন(ডি আর দত্ত--দেবকীরঞ্জন দত্ত, বালিগঞ্জ)৤ ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী (শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী) তাঁর কাজ দেখে খুশি হয়েছিলেন৤ আনন্দবাজার পত্রিকায় তাঁর খবর বক্স করে ছাপা হয়েছিল৤ তাঁর সঙ্গে বসে কিছুদিন কাজ করে দেখলাম৤ আমি যা চাইছি সেটা ঠিকঠাক এতে হবে না৤ 

        শ্রীদত্ত বহুদিনের চেষ্টায় পারপেচুয়াল মোশন(perpetual motion অনন্ত গতি)-র এক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন৤ তবে সেটি বাস্তবায়িত করার আগেই তিনি প্রয়াত হন৤ যন্ত্রটির প্রোটোটাইপ তিনি আমাকে দেখিয়েছিলেন৤ যদি কারখানায় সে মেশিন উৎপাদনে আসত তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন সমস্যা হয়তো থাকত না, এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনজনিত পরিবেশ দূষণ সমস্যাও থাকত না৤

      যাহোক, আমি নানা ছাপাখানা ঘুরে, কিছু কাজ করে বুঝলাম সাধারণ ছাপাখানায় যেখানে হাতে কম্পোজ করা হয়, সেখানেও এ পরিকল্পনা তেমন সফলভাবে বাস্তবায়িত করা যাবে না৤ তবু অনেকটা কাজ সেখানেই করে দেখলাম (কোলকাতার সূর্য সেন স্ট্রিটের কাছে এক ছাপাখানায় খানিকটা, খানিকটা মৌলালির কাছে এক ছাপাখানায়)৤ বেশ কিছুটা কাজ হলও৤ এসব করে বুঝলাম যে, পুরানো ব্যবস্থায় নয়, নতুন অতি আধুনিক ব্যবস্থায় তথা কম্পিউটারে কাজটি করতে হবে৤ তখনও বাজারে কম্পিউটার একটি অতীব মহার্ঘ বস্তু, আর আমার সে বিদ্যেও কিছু নেই৤ তবু সে দিকেই লেগে রইলাম দিনের পর দিন, মাসের পর মাস৤ পার হল বেশ কয়েকটা বছর৤ শেষে অতি সামান্য সাফল্য এলো৤ বুঝলাম যে কাজটা হবে৤ 

          আমাদের অফিসে প্রায় অকেজো একটা কম্পিউটার পড়েছিল৤ সেটা দিয়ে কেউ কিছু করত না৤ আমি সেটা দিয়ে নানাভাবে কাজ করার চেষ্টা করতে লাগলাম৤ সে কম্পিউটারে ছিল কালার স্ক্রিন৤ তবে সেটাতে কালার আসতো না৤ একদিন সেখানে কিছু করতে গিয়ে হঠাৎ এমন একটি লেখা ফুটল যে তা সাধারণভাবে কোনও কাজেই লাগবে না, কিন্তু সেই না-হওয়াটাই আমার কাজে লাগল৤ দেখে বুঝলাম যে কাজটা করা যাবে৤


ডস্‌-এ আমার করা বাংলা বর্ণমালা

          কম্পিউটারে হাত দিয়েছি অফিসে ১৯৯২-তে৤ দেখা গেল সেই কম্পিউটারই শেষে আমার ধ্যানজ্ঞান হয়ে উঠল৤ অফিসে কাজ করতে হত কম্পিউটারেই৤ অনেক পরে বাড়িতে যখন কম্পিউটার হল তখন অফিস থেকে এসে বিশ্রাম এবং বিনোদন ছিল ওই কম্পিউটারই৤ না কোনও অন্য কাজ নয়, বাংলা ফন্ট তৈরির ধারাবাহিক চর্চা৤ অফিসের বন্ধুরা অভিযোগ করল যে কম্পিউটারে হাত দেবার পরে আমি তাদের কাছে অলভ্য হয়ে গেছি৤ অভিযোগ মিছে নয়৤ পরে, যারা কম্পিউটার শিখতে চাইত, তাদের বলতাম, রাতের ঘুম যদি নষ্ট করতে চাও তবে কম্পিউটার শেখো৤ কারণ সেটাই আমার আতঙ্ক হয়ে উঠেছিল!  

          এটা কি আত্মজীবনী? না, বোঝাতে চাইছি যে, এসব করে টাকা পয়সা পাবার, বা বড় ডিগ্রি পাবার, খ্যাতি লাভ করা, কিংবা চাকুরিতে উন্নতি হবার কোনও সম্ভবনা ছিল না৤ হয়ওনি, পাইওনি৤ তবে পরম সুখ এটাই যে, আমি আমার মাতৃভাষা বাংলার জন্য কাজ করে গেছি৤ শেষ অবধি যে বাংলা ইউনিকোড ফন্ট তৈরি করতে পেরেছি তা দিয়ে সহজে বাংলা লেখা যাচ্ছে, পড়া যাচ্ছে, সহজে বাংলা বোঝা যাচ্ছে৤ আর সেটাই আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল৤ কিন্তু তার জন্য অনেক শতেক এবং সহস্র হ্যাপা যে সইতে হয়েছে, এবং অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে তা আর বলে বোঝাতে হবে না৤ 

          শুরুরও একটা শুরু আছে৤ প্রথমে আমার ড্রইং করা হরফ দিয়ে লেখা তিনটি শব্দ দুবারে বিট ম্যাপ করে কম্পিউটারে লেখা হল৤ একজন গবেষক সেটা করে দেখালেন৤ আমি বুঝলাম যে এমনভাবে হরফের ড্রইং করলে তা দেখে কম্পিউটারে হরফ বানানো যায়৤ আমার তখন ধারণা ছিল সরল রেখায় হরফ আঁকলে তবেই তা কম্পিউটারে তৈরি করা যাবে৤ কারণ কম্পিউটার সরল রেখা আঁকতে পারে৤ আমার ধারণাটি ভুল ছিল, বিভিন্ন পরিবেশে কম্পিউটার সবরকম রেখাই আঁকতে পারে৤  

          লেখাটি হল -- “বই পড়ুন”(২৫.০৯.১৯৮২)   
  
       

  




          লেখাটি কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে ক্যামেরায় ফোটো তোলা৤          




অনেক অনেক কাল পরে যখন কম্পিউটারে নিজে তা লিখতে পারলাম 
তখন তার রূপ হল--  




      এবং  





“অম্বা”(১৫.০৬.১৯৮৫)    
          

     এই লেখাটি কম্পিউটার লাইন-প্রিন্টারে প্রিন্ট করা৤ 


   

গবেষকের করা প্রথম বাংলা ফন্ট সফ্‌টওয়্যারের মুল হরফ
(যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়) 





          যখন শুরু করেছিলাম তখন কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে সর্বত্র উইন্ডোজ আসেনি৤ ডস্‌-এ কাজ শুরু হল৤ বেসিক(BASIC) দিয়ে কিছু দূর এগোলাম, কিন্তু তা বড়ই অপূর্ণ৤ 


 



ডস্‌-এ আমার করা বাংলা কিবোর্ড 










ডস্‌ ভিত্তিক বাংলা হরফে লেখা, ০১/০১/১৯৯৮  



এটি পড়া কঠিন হবে কারণ এটি আমার পরিকল্পিত বাংলা নতুন বানানে লেখা৤










পরে নতুন বানানে লেখা আর একটি লিখন ০৮/১২/২০০০





♥♥
==========
ঋণ:
বিভিন্ন আকর গ্রন্থ, সাধারণ গ্রন্থ, পত্র-পত্রিকা, ইন্টারনেটের ওয়েবসাইট ও ব্লগ থেকে নানাভাবে প্রভূত সহায়তা গ্রহণ করা হয়েছে৤ তাঁদের সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই৤ 

মনোজকুমার দ. গিরিশ
মণীশ পার্ক, কোলকাতা, ভারত 





পরবর্তী ৪র্থ অংশ দেখুন:

http://banglainternational.blogspot.in/2015/03/blog-post_40.html





সংশোধন, সম্পাদন, সংযোজন চলছে
সর্বশেষ পরিমার্জন ২৬/০৫/২০১৬



লেবেলসমূহ:

0টি মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এতে সদস্যতা মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন [Atom]

<< হোম